মাগুরার মহম্মদপুরে এসএসসি পরিক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা খেয়ে জেল হাজতে গমন। প্রক্সি দিতে এসে আটক ঐ যুবকের নাম মোঃ পিকুল শেখ (১৮)। সে একই উপজেলার বাঐজানি গ্রামের মৃত লুৎফর শেখের ছেলে

সে বীরেন শিকদার আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র মোঃ আবু ওবাইদার হয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। আবু ওবাইদা সদরের তেলিপুকুর গ্রামের মনিরুজ্জামানের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক আছে বলে জানা যায়।

এবিষয়ে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ঐ ছাত্র হরেকৃষ্ণপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণিতে রেজিষ্ট্রেশন করে এবছর এসএসসি পরিক্ষা দিচ্ছে।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্থগিত হওয়া বাংলা ২য় পত্রের নৈর্ব্যত্তিক অংশের পরিক্ষা সকাল ১১ ঘটিকায় সারা যশোর বোর্ডের ন্যায় মহম্মদপুর সদরের সরকারি আর.এস.কে.এইচ ইনস্টিটিউশন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শুরু হয়। কক্ষ পরিদর্শক শামীম আহমেদ এর সন্দেহ হলে কেন্দ্র সচিবের কাছে নিয়ে যায় এবং ভূয়ার সত্যতা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

মহম্মদপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাসুদেব কুমার মালো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পিকুলকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

এ বিষয়ে আর.এস.কে.এইচ ইনস্টিটিউশন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব এ.কে.এম নাসিরুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক ব্যক্তির উত্তরপত্র বাতিল করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে হস্তান্তর করেছে।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার রায় বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক বছরের জেল হওয়ায় পিকুলকে মাগুরার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।